hamburgerIcon

Orders

login

Profile

SkinHairFertilityBabyDiapersMore

Lowest price this festive season! Code: FIRST10

ADDED TO CART SUCCESSFULLY GO TO CART
  • Home arrow
  • পুত্রের থেকে মা-র সম্মান arrow

In this Article

    পুত্রের থেকে মা-র সম্মান

    Pregnancy

    পুত্রের থেকে মা-র সম্মান

    4 April 2023 আপডেট করা হয়েছে

    পুত্রের কাছ থেকে সম্মান মা-র প্রাপ্য। অধ্যাপক দশ শিক্ষকের সমান, বাবা অধ্যাপকের সমান এবং মাতা সম্মানে সহস্ৰ বাবার অধিক।’ ‘মাতাকে শ্রদ্ধা করলে পৃথিবী জয় করা যায়, বাবাকে শ্রদ্ধা করলে অন্তরীক্ষ জয় করা যায় এবং গুরুকে শ্রদ্ধা করলে ব্ৰহ্মলোক জয় করা যায়।’(৪৯) ‘পুত্ৰ মা-র সেবা করবে, যদি মাতা সমাজ পরিত্যক্ত হয় তাহলেও, কারণ তারই জন্যে মাতা বহু কষ্ট সহ্য করে।’‘পুত্ৰ মাতাকে ভরণপোষণ করবে, সমাজপরিত্যক্তা হলেও, তবে তার সঙ্গে কথা বলবে না। সমাজপরিত্যক্ত বাবাকে ত্যাগ করা যায়, কিন্তু মাতাকে নয়। মাতা কখনও পুত্রের পরিত্যাজ্য নয়।’ এখানেই শঙ্খ ও লিখিত বলেছেন, ‘পুত্র বাবামা-র বিবাদে কোনও পক্ষ অবলম্বন করবে না, যদি করে, তবে মাতাই পক্ষই নেবে, কারণ মাতাই তাকে গর্ভে ধারণ, প্রসব ও লালন-পালন করেছে।’ পুত্ৰ মা-র ঋণ থেকে কখনওই মুক্তি পায় না, একমাত্র মুক্তি পায় যদি সে (জটিল ও প্রচুর অর্থসাপেক্ষ) সেঁত্রামণি যাগ করে।’ ‘কোনও গুরুই মা-র চেয়ে উচ্চ নয়।’ পাণ্ডবেরা বলেন ‘অন্য সব অভিশাপের প্রায়শ্চিত্ত হয়, মা-র অভিশাপের থেকে মুক্তি নেই।’ তখনই কেবল তার বাৰ্ধক্য আসে, তখনই কেবল তার শোক হয়, তখনই কেবল তার জগৎ শূন্য হয়ে যায়, যখন কেউ তার মাকে হারায়। অজাতশত্রু তার বাবাকে তার আদেশ অমান্য করে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য তাঁর মাকে হত্যা করতে চাইলে তাঁর মন্ত্রীরা তাকে বলেন: ‘এমন আঠারো হাজার মন্দ রাজার বিবরণ পাওয়া যায় যাঁরা পিতৃহস্তা। কিন্তু মাতৃহন্তার কোনও বিবরণ মেলে না।’ কিন্তু পরশুরাম তার বাবার আদেশে মাতাকে হত্যা করেছিলেন, যদিও বাবার কাছ থেকে প্রাপ্ত প্রথম বরে তিনি মাকে পুনরুজ্জীবিত করেছিলেন।

    মা যদি যৌন ব্যভিচারের দোষে দোষী হয়, পুত্রের উপর নির্দেশ আছে, শ্রাদ্ধের সময়ে তার জন্য প্রার্থনা করতে: ‘যদি আমার মাতা কোনও পাপ করে থাকেন, কর্তব্যে অবহেলা করে থাকেন, বাবা যেন সেই বীজ নিজের বলে গ্রহণ করেন।’ পুত্রের কর্তব্য মায়ের প্রতি সম্মান দেখানো এবং কখনও মাকে শাস্তি বিধান না করা। যদি তা করে তবে তাকে কঠোরতম শাস্তি দিতে হবে।

    পুত্ৰর শ্রেণি

    পুত্ৰ নানা শ্রেণির হতে পারত। তার মধ্যে মা-র সাক্ষাৎ যোগ ছিল ঔরস (স্বামীর থেকে জাত), কানীন (বিবাহের পূর্বে গর্ভধৃত), সহোঢ় (বিবাহের সময়ে গৰ্ভধৃত), পুত্রিকাপুত্ৰ (কন্যার পুত্র, যাকে কন্যার বাবা নিজের পুত্র বলে গ্রহণ করতেন), গূঢ়োৎপন্ন (গোপনে পরপুরুষের দ্বারা উৎপন্ন) এবং নিয়োগ। এর মধ্যে কানীন, সহোঢ় এবং গূঢ়োৎপন্ন বিষয়ে সমাজের আপত্তি ছিল। অন্য দুটি প্রকট ভাবেই সমাজ দ্বারা অনুষ্ঠিত হত। দত্তক নেওয়ার সময়ে পুথিগত ভাবে বাবামাতা উভয়েরই সম্মতির প্রয়োজন ছিল, কিন্তু অনুমান হয়, পুরুষশাসিত সমাজে মায়ের অনুমতি আছে এটা গ্রহণ করেই নেওয়া হত। ভয়াবহ দুৰ্ভিক্ষ ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়ে দুস্থ ব্যক্তিরা সন্তান বিক্রয় করত; এ রকম ‘ক্রীত’ পুত্র বাবামাতা দুজনেরই হত, কিন্তু বিক্রয় বা ক্ৰয়ের মূল সিদ্ধান্ত পুরুষেরই–মহাকাব্য, পুরাণ ও বৌদ্ধ সাহিত্যে বর্ণিত ঘটনাগুলি তারই প্ৰমাণ দেয়।

    মাতৃত্বের সঙ্গে সম্পর্কিত জটিলতা

    মাতৃত্বের সঙ্গে সম্পর্কিত জটিলতাগুলি সাহিত্যে প্রকাশ পায়। সব কিছু যে শাস্ত্রের বিধি অনুসারে সহজ সরল ছিল না তা মহাকাব্য, পুরাণ, বৌদ্ধ সাহিত্য এবং প্রাচীন মধ্যযুগের সাহিত্য থেকে উদঘাটিত হয়। এমনকী বৈদিক সাহিত্যেও বাবা এবং কন্যার মধ্যে (ব্ৰহ্মা ও বাক) অবৈধ সম্পর্ক দেখতে পাই। বৌদ্ধ সাহিত্যে মাতা-পুত্রের মধ্যে অবৈধ সম্পর্কের একটি নিদর্শন পাওয়া যায়।

    বিশ্বান্তর জাতকে বাবা পুত্রকন্যাকে বিলিয়ে দেয় মা-র অনুমতি ছাড়াই। যদিও শাস্ত্ৰে নির্দেশ আছে, পুত্রেরা বার্ধক্যে মায়ের দেখাসশোনা করবে। তবু কুন্তী পুত্রদের ছেড়ে বনে গিয়েছিলেন। গর্ভবতী স্ত্রী স্বামীর কাছে বিশেষ দায়িত্ব ও যত্নের বিষয়, কিন্তু গর্ভবতী অবস্থায় সীতা পরিত্যক্ত হয়েছিলেন বিনা শাস্তিতে। শাস্ত্রে প্রায়ই বলা হয়, ‘ন স্ত্রী দুষ্যতি জারেণ–স্ত্রী উপপতির দ্বারা দূষিত হয় না’।(৬১) কিন্তু সীতাকে এ বিষয়ে শুধুমাত্ৰ সন্দেহের কারণে বিসর্জন দেওয়া হয়েছিল। এই অপরাধে অহল্যা অভিশাপ পেয়ে পাষাণমূর্তিতে পরিণত হয়েছিলেন। বিবাহিত রমণী ব্যভিচার করলে এক মাসের পর তাকে শুদ্ধ বলে গণ্য করতে হবে। কিন্তু রামচন্দ্ৰ বা গৌতম কেউই এই বিধি মানেননি। আরও অসংখ্য এ রকম নিদর্শন মহাকাব্যে ও পুরাণে পাওয়া যায়, যেখানে, যে নারীর পদস্থলন ঘটেছে তাকে কঠোর শাস্তির দ্বারা দণ্ডিত করা হয়। তার মধ্যে কয়েকটি এত বীভৎস যে সেগুলি উচ্চারণ করা যায় না। যাই হোক, বিবাহিত রমণী শুধু তার স্বামীর থেকেই গর্ভধারণ করবে এবং স্বামীর সম্পত্তির উত্তরাধিকারীর জন্ম দেবে, এটাই প্রত্যাশিত ছিল।

    মাতৃত্বের বিষয়ে বিচিত্র নিদর্শন

    মাতৃত্বের বিষয়ে বা পুত্রের সম্বন্ধে মা-র মনোভাব বিষয়ে কতকগুলি বিচিত্র নিদর্শন পাওয়া যায়। গঙ্গা তার সাত পুত্রকে জলে বিসর্জন দেন। অবশ্য এরা ছিল বসু (স্বৰ্গবাসী), অভিশপ্ত হয়ে পৃথিবীতে জন্ম নিয়েছিল। এবং, তাদের শাপ কিছুটা হ্রাস করার একমাত্র উপায় ছিল। সদ্য মৃত্যু, যাতে তারা অবিলম্বে স্বৰ্গে ফিরে আসতে পারে, এবং গঙ্গা তাই করতে অঙ্গীকৃত ছিলেন। কিন্তু বাবা যখন সদ্যোজাত পুত্রদের তাৎক্ষণিক মৃত্যুতে শোকাবিষ্ট, তখন যে মা তাদের গর্ভে ধারণ করেছেন, প্রসব করেছেন এবং স্বয়ং ডুবিয়ে মেরেছেন, তাঁর দিক থেকে কোনও অনুশোচনা বা বেদনার কথা শুনতে পাই না। দিব্যাঙ্গনা মেনকাও তাঁর সদ্যোজাত শিশু কন্যা শকুন্তলাকে তীব্র ঋষি স্বামীর সঙ্গেই পরিত্যাগ করেছিলেন। ইন্দ্র তাকে আদেশ দিয়েছিলেন বিশ্বামিত্রের তপস্যা ভঙ্গ করতে, যে তপস্যার দ্বারা ইন্দ্রের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছিল। মেনকা ঋষির সঙ্গে বাস করলেন একটি সুন্দরী কন্যার জন্ম পর্যন্ত। তারপরেই তিনি স্বৰ্গে চলে গেলেন, কারণ তাঁর কার্য সমাধা হয়েছে। হর্ষচরিত-এ সরস্বতীও সারস্বতের জন্ম দিয়ে তৎক্ষণাৎ স্বগে প্ৰস্থান করেছিলেন। এমনকী হর্ষের মাতা যশোমতীও আসন্ন বৈধব্যের আশঙ্কায় পুত্র হর্ষের করুণ মিনতি। অবহেলা করে চিন্তারোহণ করলেন। সীতাও দুই শিশুপুত্ৰ ফেলে তাঁর মায়ের কাছে চলে গেলেন। মাদ্ৰী দুই পুত্রকে কুন্তীর কাছে রেখে স্বামীর চিন্তারোহণ করলেন, কুন্তীও পুত্রদের ফেলে চলে গেলেন। পুরুরবার প্রতি উর্বশীর কামনা এতই তীব্র এবং যে কোনও রকম বাধার প্রতি এতই অসহিষ্ণু যে, তিনি নবজাত শিশুকে আশ্রমে লালিত হতে পাঠিয়ে দিলেন। মর্ত্য গণিকার প্রতীক হিসাবে উর্বশী স্বাভাবিক ভাবেই কামসর্বস্বতা এবং অপত্যস্নেহহীনতার প্রতিনিধি।

    গণিকাদের সন্তান

    এমনকী গণিকাদেরও কোনও কোনও সময়ে সন্তান জন্মাত। ছেলেদের বলা হত বন্ধুল এবং তাদের গীতবাদ্য ও নৃত্যশিক্ষা দেওয়া হত, যাতে তারা গণিকদের রঙ্গমঞ্চে নাট্যাভিনয়ে যোগ দিতে পারে। মেয়েদের গান, বাজনা, অভিনয় ও অন্যান্য সুকুমার কলা শেখানো হত, কিন্তু অধিকাংশই তাদের মায়ের জীবিকাই অবলম্বন করত, যদি না কোনও সদয় পৃষ্ঠপোষক তাদের নিষ্ক্রয় করে নিতেন। তখন সেই পুরুষেরা তাদের রক্ষিতা রাখত অথবা বিবাহ করত। যাই হোক, এই সন্তানেরা মায়ের কাছেই মানুষ হত, এবং যুক্তিসঙ্গত ভাবে ধরে নেওয়া যায়, মায়ের সঙ্গে তাদের ভাবগত যোগ থাকত।

    চাপিয়ে দেওয়া মাতৃত্ব

    অনেক সময়েই অনিচ্ছুক নারীদের উপর মাতৃত্ব চাপিয়ে দেওয়া হত। মহাভারত-এ অম্বিক ও অম্বালিকা ব্যাসকে দেখে শিউরে উঠেছিলেন, কিন্তু ব্যাসের কাছে আত্মসমর্পণ করতে এবং তাঁর সন্তান ধারণ করতে তাঁরা বাধ্য হয়েছিলেন। কোনও কোনও যাগে কুমারী, নিঃসন্তান বধু ও সন্তানবতী রমণী— এই তিন প্রকারের দক্ষিণা ছিল; তিন শ্রেণই গ্ৰহীতার সন্তান ধারণ করত। কুলজাতকে নিবীৰ্য ইক্ষাকু রাজার পাঁচশো মহিষীকে প্রতি মাসে তিন রাত্রি করে যে কেউই দাবি করত। তার অধীন হতে হত; এই সব রাত্রে রাজার আদেশে প্রাসাদের তোরণদ্বার উন্মুক্ত করে দেওয়া হত। অবশ্যই অনেক অনিচ্ছক নারীর উপরে গৰ্ভধারণ আরোপিত হত, গল্পে আছে, তারা বিলাপ করেছিল, বাধা দিয়েছিল এবং অবশেষে অসহায় ভাবে বশ্যতা স্বীকার করেছিল। মহাকাব্য ও পুরাণে এমন বহু কাহিনি আছে যেখানে বহু অনিচ্ছক রমণীর উপরে মাতৃত্ব চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল। অতিথিদের আমোদের জন্য গৃহিণীকে দান করা হত, কখনও বা কুমারী কন্যাদের দান করা হত এবং যুক্তিসঙ্গত ভাবেই বলা যায়, তাদের সকলেই সেই সঙ্গীর জন্য আগ্রহী ছিল না। কোনও কোনও গল্পে বলা হয়েছে, তারা ঘৃণা করেছে, কিন্তু বশ্যতা স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে।

    মাতৃত্বের জন্য কামনা

    মাতৃত্বের জন্য যে সরল কামনা, তা কুমারী কুন্তীর নবপ্রাপ্ত বর নিয়ে খেলা করার মধ্যে প্রকাশ পায়। তিনি যে কোনও দেবতাকে আহ্বান করতে পারতেন, এবং তাঁর আহ্বানে দেবতা আসতেন। সূর্য এসে তাকে একটি পুত্র দিলেন। কিন্তু বিবাহের পরে তাঁর নিবীৰ্য স্বামী পাণ্ডুই তাঁকে প্ররোচিত করেন তিন ভিন্ন ভিন্ন সঙ্গীর কাছ থেকে প্রথম তিন পাণ্ডবকে লাভ করতে। মাদ্রীও প্ররোচিত হয়েছিলেন এবং কুন্তীর কাছ থেকে মন্ত্র শিখেছিলেন। তিনিও এই একই উপায়ে দুই পুত্র লাভ করেন। সমাজ পুত্রের উপর এতটাই গুরুত্ব দিত যে, যে ভাবেই হোক পুত্ৰলাভ করতে হত। সেই পুত্রেরা যে শুধু আইনসঙ্গত ছিল তা নয়, তার জন্য তাদের কোনও কলঙ্ক ছিল না, এবং উরসপুত্রের সমান অধিকারই তাদের ছিল। নিয়োগ প্রথা বহুল প্রচলিত ছিল। মৃত বা নিবীৰ্য পুরুষের সম্পত্তির জন্য পুত্ররূপ উত্তরাধিকারী লাভের কামনাই ছিল এই প্রথার মূলে।

    Is this helpful?

    thumbs_upYes

    thumb_downNo

    Written by

    Atreyee Mukherjee

    Get baby's diet chart, and growth tips

    Download Mylo today!
    Download Mylo App

    RECENTLY PUBLISHED ARTICLES

    our most recent articles

    foot top wavefoot down wave

    AWARDS AND RECOGNITION

    Awards

    Mylo wins Forbes D2C Disruptor award

    Awards

    Mylo wins The Economic Times Promising Brands 2022

    AS SEEN IN

    Mylo Logo

    Start Exploring

    wavewave
    About Us
    Mylo_logo

    At Mylo, we help young parents raise happy and healthy families with our innovative new-age solutions:

    • Mylo Care: Effective and science-backed personal care and wellness solutions for a joyful you.
    • Mylo Baby: Science-backed, gentle and effective personal care & hygiene range for your little one.
    • Mylo Community: Trusted and empathetic community of 10mn+ parents and experts.